Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মাসিক সভা সমূহ

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের জুলাই/২০১৮ মাসের সাধারণ সভার কার্যবিবরণীঃ

সভাপতি       মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারম্যান, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ,                                                           

সভার তারিখঃ   ২২/০৭/২০১৮ খ্রিঃ                                                                                                    

সময়ঃ            সকাল ১০.৩০ ঘটিকা              

স্থানঃ             কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তন

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিগণের তালিকা (সভার হাজিরা বহি দ্রষ্টব্য)

সভাপতি উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাপূর্বক কোনোরূপ সংশোধনী না থাকায় উহা নিশ্চিতকরণ করা হয়।

২।  আলোচ্য বিষয়-: আলোচ্যসূচি অনুযায়ী বিগত মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়:

ক্রঃ নং

বিগত সভার সিদ্ধান্ত

আলোচনা/পর্যালোচনা

বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/পরিষদ সদস্য/কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম

১।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি আদায়।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা,২০১৮ অনুসারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সচিব ও চেয়ারম্যান।

২।

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধকল্পে:

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে বয়স ও ঠিকানা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করা।

৩। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণকে অবগত করা হয়েছে, ২। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে, ৩। ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সচিব ও চেয়ারম্যান।

৩।

১। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ।

১। ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি পুনর্গঠন।

৩।পরিষদ চেয়ারম্যান/সদস্য

৪।

এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন মাদক ও জুয়া সম্পর্কে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সদা সতর্ক থাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীসহ সকলে এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।

স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সদা সজাগ ও সতর্ক থাকা।

পরিষদ চেয়ারম্যান/সদস্য/মসজিদের ইমাম/ধর্মীয় পুরোহিত (সকল)।

৫।

পরিষদের স্বার্থে সকল অপরিহার্য ব্যয় অনুমোদন।

পরিষদের স্বার্থে খরচের সকল ব্যয় ভাউচার পর্যালোচনাপূর্বক অনুমোদিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ

৩। অন্যান্য আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে নিম্নরূপ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়:

ক্রম

নং

আলোচ্য বিষয়/প্রস্তাবের সংক্ষিপ্ত সার

আলোচনা

সিদ্ধান্ত

বাস্তবায়নকারী সদস্য /কর্তৃপক্ষ/কর্মকর্তা/

কর্মচারী

০১

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন

ইউপি সচিব জানান, জুলাই/১৮ খ্রিঃ মাসে মোট ১১ জনের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে মহিলা ০৫ জন এবং পুরুষ ০৬ জন। এছাড়া ০৪ জন পুরুষ ও ০১ জন মহিলাসহ মোট ০৫ জনের মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি গ্রহণ।

চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলে

 

০২

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ

নিরোধ

সভাপতি জানান, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা একটি ভয়াবহ সমস্যা।  আর্থিক অস্বচ্চলতা, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব, কন্যার দায়ভার হতে মুক্তি লাভ, বাল্য বিবাহের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানের অভার, বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ইত্যাদি কারণে সমাজে যৌতুক ও বাল্য বিবাহ ব্যাধির ন্যায় সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে। যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, নারী ও শিশু নির্যাতন, নানাবিধ পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। এলাকায় যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধে  নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় :

১। জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে না দেওয়া, ২। মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করা, ৩। বাল্যবিবাহ ঘটার উপক্রম হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, ৪। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। মসজিদের ইমাম/ নিকাহ্‌ ও তালাক রেজিস্টার,

২। ইউনিয়ন যৌতুক ও বাল্য বিবাহ কমিটি, ৩। গ্রামপুলিশ বাহিনী,

৪। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য (সকল)/সচিব।

০৩

নারী ও শিশু নির্যাতন

প্রতিরোধ

উপস্থিত সকলে বলেন, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর প্রতি অবহেলা, নারীকে যথাযথ সম্মান ও যথেষ্ট গুরুত্ব না দেয়ার কারণে বর্তমান সমাজে নারী নির্যাতন সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। নারীরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের নিপীড়ন, জখম, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ইত্যাদি অপরাধের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ দমনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে “নারী ও শিশু নির্যাতন আইন” প্রণীত হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা আজ পথে-ঘাটে, অফিসে, হাটে-বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও নিরাপদ নয়। তাই এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, সমাজে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এলাকায় নারী ও শিশু নিযার্তন প্রতিরোধের জন্য নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়-

১। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ, ২। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, ৩। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারী ও শিশুর মৌলিক অধিকারগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করা, ৬। ওয়ার্ড সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন নারীর অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু নির্যাতনের কারণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/ সদস্য (সকল)

২। গ্রাম পুলিশ বাহিনী

৩। ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।

৪। সচেতন অভিভাবক মহল ও সচেতন নাগরিক।

 

০৪

জঙ্গীবাদ/

সন্ত্রাসবাদ/

মাদক/আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত।

সভাপতি বলেন, জঙ্গী বা সন্ত্রাসীরা যে কোন সময় এলাকার জনগণের ক্ষতি সাধন করতে পারে। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/সন্ত্রাসী/জঙ্গী আস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা/উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

১। জঙ্গীবাদ/সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে সচেতন থাকা, ২। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা, ৩। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/ সন্ত্রাসী/জঙ্গীআস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো, ৪। সকল মসজিদে প্রতি শুক্রবার জমুার নামাজে জঙ্গীবাদ/ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে খুতবা পাঠ করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য

২। গ্রাম পুলিশ,

৩। মসজিদের ইমাম/ মাদ্রাসার সুপার (সকল)।

০৫

লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজএসপি-৩) এর আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে প্রাপ্ত মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) দ্বারা স্কিম গ্রহণ ও অনুমোদন।

সভাপতি জানান, লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) এর আওতায় ২০১৭-১৮ খ্রিঃ অর্থবছরে মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) বাবদ গত ২৬/০৬/২০১৮ খ্রিঃ তারিখে এ ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি-৩ এর ব্যাংক হিসাবে  (সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, দীঘিনালা শাখা)১৬,৬০,০৩৭/- (ষোল লক্ষ ষাট হাজার সাঁইত্রিশ) টাকা জমা হয়েছে। ইতোপূর্বে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব), লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) এর ২২/০৫/২০১৮ খ্রিঃ তারিখের ৪৬.০১৮.১৯৯.০১.২৭.০৭৫.২০১৮-৩৩৮ নং স্মারকে ইউনিয়ন পরিষদ অপারেশনাল ম্যানুয়াল-৩ এর সফট্‌ কপি প্রেরণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, প্রাপ্ত মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদ অপারেশনাল ম্যানুয়াল-৩ অনুসরণ করে ওয়ার্ড সভায় গৃহিত অগ্রাধিকারভিক্তিক স্কিমসমূহ হতে যাচাই-বাছাই করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ণ স্কিম গ্রহণ করে উপজেলা বিবিসিসি’র প্রয়োজন। অতঃপর সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) এর আওতায় ২০১৭-১৮ খ্রিঃ অর্থবছরে মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) বাবদ প্রাপ্ত ১৬,৬০,০৩৭/- (ষোল লক্ষ ষাট হাজার সাঁইত্রিশ) টাকায় বাস্তবায়নের জন্য মোট ০৮ টি (আটটি) প্রকল্প গৃহিত ও অনুমোদিত হয়। খাতভিত্তিক গৃহিত প্রকল্প তালিকা ও প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ বিভাজন সংযুক্ত ‘ক’ তে উল্লেখ করা হলো।

ইউনিয়ন পরিষদ ও

উপজেলা ব্লক গ্রান্ট কো-অর্ডিনেশন

কমিটি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

০৬

ইউনিয়ন পরিষদের জুলাই/১৮ খি: মাসের আয়-ব্যয়।

আলোচ্যসূচি অনুসারে ইউপি সচিব ইউনিয়ন পরিষদের জুলাই/১৮ মাসের আয় ও ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ: ১। আয় : হোল্ডিং কর ৩,৬৬০ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স ফিস ৯০০ টাকা।

ব্যয়ঃ  বৈদুতিক মিটার ক্রয় ও স্থাপন ২,৫০০ টাকা, পিয়নের বেতন ৩,০০০ টাকা।

যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে উপরোল্লিখিত ব্যয়সমূহ অপরিহার্য ছিল; তাই উক্ত ব্যয় এবং ব্যয় ভাউচারসমূহ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

৪। পরিশেষে আর কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

(মো: জাহাঙ্গীর হোসেন)

        চেয়ারম্যান

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৫-০২৩২২৭।

 

স্মারক নং : ৪৬.০০.৪৬৪৩.০৬৩.০৬.০১৯.১৮-৬২তারিখঃ ২৩/০৭/২০১৮ খ্রিঃ

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো-

  1. জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  2. উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  3. চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  4. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  5. অফিস নথি।

(দীশকন চাক্মা)

   পরিষদ সচিব

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৬-৬৪৫৪১১।

 

 

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের আগস্ট/২০১৮ মাসের সাধারণ সভার কার্যবিবরণীঃ

সভাপতিঃ          মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারম্যান, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ                                              

সভার তারিখঃ     ২০/০৮/২০১৮ খ্রিঃ                                                                                                  

সময়ঃ                সকাল ১০.৩০ ঘটিকা                                                             

স্থানঃ                 কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তন

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিগণের তালিকা (সভার হাজিরা বহি দ্রষ্টব্য)

সভাপতি উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাপূর্বক কোনোরূপ সংশোধনী না থাকায় উহা নিশ্চিতকরণ করা হয়।

২।  আলোচ্য বিষয়-: আলোচ্যসূচি অনুযায়ী বিগত মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়:

ক্রঃ নং

বিগত সভার সিদ্ধান্ত

আলোচনা/পর্যালোচনা

বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/পরিষদ সদস্য/কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম

১।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি আদায়।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা,২০১৮ অনুসারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সচিব ও চেয়ারম্যান।

২।

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধকল্পে:

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ

পড়াতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে বয়স ও ঠিকানা যথাযথভাবে

যাচাই-বাছাই করা।

৩। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার

সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণকে অবগত করা হয়েছে, ২। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে, ৩। ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

 

১। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য,

সচিব ও চেয়ারম্যান।

২। নিকাহ্‌ ও তালাক

    রেজিস্টার (কাজী)

৩।

এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন মাদক ও জুয়া সম্পর্কে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সদা সতর্ক থাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীসহ সকলে এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।

স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সদা সজাগ ও সতর্ক থাকা।

পরিষদ চেয়ারম্যান/সদস্য/ মসজিদের ইমাম/ধর্মীয় পুরোহিত (সকল)।

৪।

পরিষদের স্বার্থে আগস্ট/১৮ খ্রি: মাসের সকল অপরিহার্য ব্যয়সমূহ অনুমোদন।

পরিষদের স্বার্থে খরচের সকল ব্যয় ভাউচার পর্যালোচনাপূর্বক অনুমোদিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ

৩। অন্যান্য আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে নিম্নরূপ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়:

ক্রম

নং

আলোচ্য বিষয়/প্রস্তাবের সংক্ষিপ্ত সার

আলোচনা

সিদ্ধান্ত

বাস্তবায়নকারী সদস্য /কর্তৃপক্ষ/কর্মকর্তা/

কর্মচারী

০১

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন

ইউপি সচিব জানান, আগস্ট/১৮ খ্রিঃ মাসে মোট ১২ জনের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে মহিলা ০৫ জন এবং পুরুষ ০৭ জন। এছাড়া ০৫ জন পুরুষ ও ০২ জন মহিলাসহ মোট ০৭ জনের মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি গ্রহণ।

ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলে

 

০২

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ

নিরোধ

সভাপতি জানান, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা একটি ভয়াবহ সমস্যা।  আর্থিক অস্বচ্ছলতা, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব, কন্যার দায়ভার হতে মুক্তি লাভ, বাল্য বিবাহের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানের অভার, বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ইত্যাদি কারণে সমাজে যৌতুক ও বাল্য বিবাহ ব্যাধির ন্যায় সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে। যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, নারী ও শিশু নির্যাতন, নানাবিধ পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। এলাকায় যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধে  নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় :

১। জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে না দেওয়া, ২। মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করা, ৩। বাল্যবিবাহ ঘটার উপক্রম হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, ৪। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। মসজিদের ইমাম/ নিকাহ্‌ ও তালাক রেজিস্টার,

২। ইউনিয়ন যৌতুক ও বাল্য বিবাহ কমিটি, ৩। গ্রামপুলিশ বাহিনী,

৪। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য (সকল)/সচিব।

০৩

নারী ও শিশু নির্যাতন

প্রতিরোধ

উপস্থিত সকলে বলেন, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর প্রতি অবহেলা, নারীকে যথাযথ সম্মান ও যথেষ্ট গুরুত্ব না দেয়ার কারণে বর্তমান সমাজে নারী নির্যাতন সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। নারীরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের নিপীড়ন, জখম, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ইত্যাদি অপরাধের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ দমনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে “নারী ও শিশু নির্যাতন আইন” প্রণীত হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা আজ পথে-ঘাটে, অফিসে, হাটে-বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও নিরাপদ নয়। এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, সমাজে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এলাকায় নারী ও শিশু নিযার্তন প্রতিরোধের জন্য নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়-১। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ, ২। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, ৩। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারী ও শিশুর মৌলিক অধিকারগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করা, ৬। ওয়ার্ড সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন নারীর অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু নির্যাতনের কারণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/ সদস্য (সকল)

২। গ্রাম পুলিশ বাহিনী

৩। ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।

৪। সচেতন অভিভাবক মহল ও সচেতন নাগরিক।

 

০৪

জঙ্গীবাদ/

সন্ত্রাসবাদ/

মাদক/আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত।

সভাপতি বলেন, জঙ্গী বা সন্ত্রাসীরা যে কোন সময় এলাকার জনগণের ক্ষতি সাধন করতে পারে। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/সন্ত্রাসী/জঙ্গী আস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা/উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

১। জঙ্গীবাদ/সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে সচেতন থাকা, ২। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা, ৩। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/সন্ত্রাসী/জঙ্গীআস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো, ৪। সকল মসজিদে প্রতি শুক্রবার জমুার নামাজে জঙ্গীবাদ/ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে খুতবা পাঠ করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য

২। গ্রাম পুলিশ,

৩। মসজিদের ইমাম/ মাদ্রাসার সুপার (সকল)।

০৫

ইউনিয়ন পরিষদের আগস্ট/১৮ খি: মাসের আয়-ব্যয়।

আলোচ্যসূচি অনুসারে ইউপি সচিব ইউনিয়ন পরিষদের আগস্ট/১৮ মাসের আয় ও ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ: ১। আয় : হোল্ডিং কর আদায় বাবদ ৫,৯৪০ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায় বাবদ ১,৮০০ টাকা, সর্বমোট আয়:  ৭,৭৪০ টাকা।

ব্যয়ঃ ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয়ের নিমিত্ত আর্থিক সাহায্য ১,০০০ টাকা, স্টেশনারী ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাবদ৩,৪৫০ টাকা; সর্বমোট: ৪,৪৫০ টাকা।

যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে উপরোল্লিখিত ব্যয়সমূহ অপরিহার্য ছিল; তাই উক্ত ব্যয় এবং ব্যয় ভাউচারসমূহ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

৪। পরিশেষে আর কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

(মো: জাহাঙ্গীর হোসেন)

চেয়ারম্যান

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৫-০২৩২২৭।

স্মারক নং : ৪৬.০০.৪৬৪৩.০৬৩.০৬.০১৯.১৮-৬২তারিখঃ ২৩/০৮/২০১৮ খ্রিঃ

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো-

  1. জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  2. উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  3. চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  4. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  5. অফিস নথি।

 

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সেপ্টেম্বর/২০১৮মাসের সাধারণ সভার কার্যবিবরণীঃ

সভাপতিঃ            মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারম্যান, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ                                            

            সভার তারিখঃ      ২০/০৯/২০১৮ খ্রিঃ                                                                                                 

সময়ঃ                 সকাল ১০.৩০ ঘটিকা                                                             

স্থানঃ                  কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তন

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিগণের তালিকা সভার হাজিরা বহি দ্রষ্টব্য (স্বাক্ষরের ক্রমানুসারে)।

সভাপতি উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাপূর্বক কোনোরূপ সংশোধনী না থাকায় উহা নিশ্চিতকরণ করা হয়।

২।  আলোচ্য বিষয়-: আলোচ্যসূচি অনুযায়ী বিগত মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়:

ক্রঃ নং

বিগত সভার সিদ্ধান্ত

আলোচনা/পর্যালোচনা

বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/পরিষদ সদস্য/কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম

১।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি আদায়।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা,২০১৮ অনুসারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সচিব ও চেয়ারম্যান।

২।

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধকল্পে:

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে বয়স ও ঠিকানা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করা।

৩। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণকে অবগত করা হয়েছে, ২। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে, ৩। ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

 

১। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য,

    সচিব ও চেয়ারম্যান।

২। নিকাহ্‌ ও তালাক

    রেজিস্টার (কাজী)

৩।

এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন মাদক ও জুয়া সম্পর্কে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সদা সতর্ক থাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীসহ সকলে এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।

স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সদা সজাগ ও সতর্ক থাকা।

পরিষদ চেয়ারম্যান/সদস্য/ মসজিদের ইমাম/ধর্মীয় পুরোহিত (সকল)।

৪।

পরিষদের স্বার্থে আগস্ট/১৮ খ্রি: মাসের সকল অপরিহার্য ব্যয়সমূহ অনুমোদন।

পরিষদের স্বার্থে খরচের সকল ব্যয় ভাউচার পর্যালোচনাপূর্বক অনুমোদিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ

৩। অন্যান্য আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে নিম্নরূপ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়:

ক্রম

নং

আলোচ্য বিষয়/প্রস্তাবের সংক্ষিপ্ত সার

আলোচনা

সিদ্ধান্ত

বাস্তবায়নকারী সদস্য /কর্তৃপক্ষ/কর্মকর্তা/

কর্মচারী

০১

হোল্ডিং কর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় সংক্রান্ত।

সভাপতি বলেন, হোল্ডিং কর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান রাজস্ব আয়। পর্যাপ্ত আয় ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ জনসাধারণকে প্রত্যাশিত সেবা প্রদান করতে পারে না। ইউনিয়ন পরিষদকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনয়নের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১৩/০৪/২০১৪ খ্রিঃ তারিখের ৪৬.০১৮.০৩২. ০০.০০.০২৭.২০১৩-৫৩২ নং স্মারক মূলে ইউনিয়ন পরিষদকে হোল্ডিং কর আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদের সাধারণ সভায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৬৬ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রণীত “ইউনিয়ন পরিষদ আদর্শ কর তফসিল,২০১৩” অনুসারে এ ইউনিয়নে সর্বনিম্ন ৪% হারে (সর্বোচ্চ ৭%) ২০১৫-২০১৬ খ্রি: হতে ২০১৯-২০২০ খ্রি: পর্যন্ত পাঁচ বৎসরের জন্য হোল্ডিং কর ধার্য্য করা হয়। বর্তমানে ধার্য্যকৃত করের আলোকে ¯^í পরিসরে কর আদায় কার্যক্রম চলমান থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ইতোমধ্যে গত ০৩/০৯/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখে চিওড়া সমাজ কল্যাণ পরিষদের প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ মোশারেফ হোসেন কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং কর আদায়ের জন্য আবেদন করেছেন। জনাব মোঃ মোশারেফ এর আবেদন এবং চিওয়া সমাজ কল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত যাচাই করে জানা যায় যে, সংস্থাটি ইতোপূর্বে তার দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর আদায়কারী দ্বারা নিষ্ঠা, সততা এবং দক্ষতার সাথে খাগড়াছড়ি জেলার ৩০ টি ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং কর আদায় এবং এমআইএস সার্ভারে এন্ট্রি সম্পন্ন করেছেন। অত:পর এ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

যেহেতু হোল্ডিং কর আদায়ের ক্ষেত্রে চিওড়া সমাজ কল্যাণ পরিষদ একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানটি ইতোপূর্বে তার সুদক্ষ কর আদায়কারী দ্বারা নিষ্ঠা, সততা, দক্ষতার সাথে খাগড়াছড়ি জেলার ৩০ টি ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং কর এবং ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায় এবং এমআইএস সার্ভারে ডাটা এন্ট্রি অত্যন্ত সুন্দর এবং সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছেন সেহেতু সংস্থাটির প্রতি আস্থা রেখে সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে নিম্নরূপ সিদ্ধান্তসমূহ গৃহিত হয়:-

১। সংস্থাটির সাথে চুক্তি সম্পাদন পূর্বক হোল্ডিং কর এবং ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২। কর আদায়ের পূর্বে এলাকার সর্বসাধাণের অবগতির জন্য লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করা এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণের সাথে মতবিনিময় করা।

৩। ইউপি সদস্যগণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গ্রামপুলিশ বাহিনী ¯^-¯^ ওয়ার্ডে কর আদায়কারীগণকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।

৪। চুক্তি সম্পাদন সাপেক্ষে আগামী ৩০/০৯/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখ হইতে নিয়োগকৃত কর আদায়কারীগণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর আদায় করবেন।

১। ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি কর আদায় কার্যক্রমে নিবিড় মনিটরিং এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।

২। ইউপি সচিব। তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শক্রমে কর আদায় কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য মনিটরিং, হিসাব রক্ষণ, এমআইএস সার্ভারে ডাটা এন্ট্রি, আদায়কৃত টাকা যথানিয়মে ব্যাংক হিসাবে জমা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ এবং কর আদায়কারীগণের সাথে mgš^q সাধন করবেন।

৩। ইউপি সদস্য এবং গ্রাম পুলিশগণ।

০২

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন

ইউপি সচিব জানান, সেপ্টেম্বর ১৮ খ্রিঃ মাসে মোট 18 জনের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে মহিলা ০৭ জন এবং পুরুষ ১১ জন। এছাড়া ০৮ জন পুরুষ ও ০৩ জন মহিলাসহ মোট ১১ জনের মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি গ্রহণ।

ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলে

 

০৩

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ

নিরোধ

সভাপতি জানান, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা একটি ভয়াবহ সমস্যা।  আর্থিক অস্বচ্ছলতা, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব, কন্যার দায়ভার হতে মুক্তি লাভ, বাল্য বিবাহের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানের অভার, বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ইত্যাদি কারণে সমাজে যৌতুক ও বাল্য বিবাহ ব্যাধির ন্যায় সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে। যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, নারী ও শিশু নির্যাতন, নানাবিধ পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। এলাকায় যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধে  নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় :

১। জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে না দেওয়া, ২। মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করা, ৩। বাল্যবিবাহ ঘটার উপক্রম হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, ৪। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। মসজিদের ইমাম/ নিকাহ্‌ ও তালাক রেজিস্টার,

২। ইউনিয়ন যৌতুক ও বাল্য বিবাহ কমিটি, ৩। গ্রামপুলিশ বাহিনী,

৪। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য (সকল)/সচিব।

০৪

নারী ও শিশু নির্যাতন

প্রতিরোধ

উপস্থিত সকলে বলেন, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর প্রতি অবহেলা, নারীকে যথাযথ সম্মান ও যথেষ্ট গুরুত্ব না দেয়ার কারণে বর্তমান সমাজে নারী নির্যাতন সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। নারীরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের নিপীড়ন, জখম, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ইত্যাদি অপরাধের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ দমনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে “নারী ও শিশু নির্যাতন আইন” প্রণীত হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা আজ পথে-ঘাটে, অফিসে, হাটে-বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও নিরাপদ নয়। এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, সমাজে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এলাকায় নারী ও শিশু নিযার্তন প্রতিরোধের জন্য নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়-১। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ, ২। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, ৩। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারী ও শিশুর মৌলিক অধিকারগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করা, ৬। ওয়ার্ড সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন নারীর অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু নির্যাতনের কারণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/ সদস্য (সকল)

২। গ্রাম পুলিশ বাহিনী

৩। ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।

৪। সচেতন অভিভাবক মহল ও সচেতন নাগরিক।

 

০৫

জঙ্গীবাদ/

সন্ত্রাসবাদ/

মাদক/আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত।

সভাপতি বলেন, জঙ্গী বা সন্ত্রাসীরা যে কোন সময় এলাকার জনগণের ক্ষতি সাধন করতে পারে। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/সন্ত্রাসী/জঙ্গী আস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা/উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

১। জঙ্গীবাদ/সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে সচেতন থাকা, ২। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা, ৩। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/ সন্ত্রাসী/জঙ্গীআস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো, ৪। সকল মসজিদে প্রতি শুক্রবার জমুার নামাজে জঙ্গীবাদ/ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে খুতবা পাঠ করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য

২। গ্রাম পুলিশ,

৩। মসজিদের ইমাম/ মাদ্রাসার সুপার (সকল)।

০৬

ইউপির নিজস্ব আয় দ্বারা স্কিম গ্রহণ ও অনুমোদন।

সভাপতি জানান যে, অক্টোবর/২০১৮ খ্রি: মাসে হাট-বাজার ইজারার ইউপি’র অংশ এবং হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ইউপি’র মোটামুটি নিজস্ব আয় আসবে। উক্ত আয় হতে ইউনিয়নবাসীর চাহিদা মোতাবেক কমপক্ষে৭/৮ টি স্কিম বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ণের অন্যতম সূচক হলো ইউপি’র মোট রাজস্ব আয় হতে ন্যূনতম ২৫% অর্থ দ্বারা স্কিম বাস্তবায়ন করা। তাই যদি কর আদায় কার্যক্রম সফল হয় তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব আয় দ্বারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। অত:পর এ বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ইউপি’র আয় থাকা সাপেক্ষে নিম্নোক্ত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ১। শুকনা ছড়া মুখ হতে শেষ মাথা পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা সংস্কার। বরাদ্দ: ৫০,০০০ টাকা, রিজার্ভ ছড়া হতে আলী নগর জামে মসজিদ পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা সংস্কার। বরাদ্দ: ১,১০,০০০ টাকা, ক্ষেত্রপুর স: প্রা: বি: হতে বাঘাইছড়ি পাকা রাস্তা পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা সংস্কার। বরাদ্দ: ১,০০,০০০ টাকা এবং হানিফের বাড়ি মুজিবের বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা সংস্কার। বরাদ্দ: ১,০৪,০০০ টাকা।

 

০৭

ইউনিয়ন পরিষদের সেপ্টেম্বর১৮ খি: মাসের আয়-ব্যয়।

আলোচ্যসূচি অনুসারে ইউপি সচিব ইউনিয়ন পরিষদের সেপ্টেম্বর১৮ মাসের আয় ও ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ: ১। আয় : হোল্ডিং কর আদায় বাবদ ৪,৫০০০ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায় বাবদ ৬০০ টাকা।

ব্যয়ঃ  চিকিৎসা সহায়তা খাতে আর্থিক সাহায্য ২,০০০ টাকা, ১০০ টাকার স্ট্যাম্প ২৪ টি, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন রশিদ বহি ১০ টি ছাপানো, উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ টানানোর জন্য ব্যানার ছাপা বাবদ ৬,০০০ টাকা।

যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে উপরোল্লিখিত ব্যয়সমূহ অপরিহার্য ছিল; তাই উক্ত ব্যয় এবং ব্যয় ভাউচারসমূহ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

৪। পরিশেষে আর কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

(মো: জাহাঙ্গীর হোসেন)

চেয়ারম্যান

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৫-০২৩২২৭।

 

স্মারক নং : ৪৬.০০.৪৬৪৩.০৬৩.০৬.০১৯.১৮- তারিখঃ ২৩/০৯/২০১৮ খ্রিঃ

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো-

  1. জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  2. উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  3. চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  4. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  5. অফিস নথি।

 

(দীশকন চাক্মা)

পরিষদ সচিব

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৬-৬৪৫৪১১।

 

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের অক্টোবর/২০১৮ মাসের সাধারণ সভার কার্যবিবরণীঃ

সভাপতিঃ              মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারম্যান, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ                                            

            সভার তারিখঃ        ২১/১০/২০১৮ খ্রিঃ                                                                                                 

সময়ঃ                  সকাল ১০.৩০ ঘটিকা                                                             

স্থানঃ                    কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তন

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিগণের তালিকা সভার হাজিরা বহি দ্রষ্টব্য (স্বাক্ষরের ক্রমানুসারে)

সভাপতি উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাপূর্বক কোনোরূপ সংশোধনী না থাকায় উহা নিশ্চিতকরণ করা হয়।

২।  আলোচ্য বিষয়-: আলোচ্যসূচি অনুযায়ী বিগত মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়:

ক্রঃ নং

বিগত সভার সিদ্ধান্ত

আলোচনা/পর্যালোচনা

বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/পরিষদ সদস্য/কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম

১।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি আদায়।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা,২০১৮ অনুসারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সচিব ও চেয়ারম্যান।

২।

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধকল্পে:

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে বয়স ও ঠিকানা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করা।

৩। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণকে অবগত করা হয়েছে, ২। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে, ৩। ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

 

১। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য,

    সচিব ও চেয়ারম্যান।

২। নিকাহ্‌ ও তালাক

    রেজিস্টার (কাজী)

৩।

এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন মাদক ও জুয়া সম্পর্কে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সদা সতর্ক থাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীসহ সকলে এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।

স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সদা সজাগ ও সতর্ক থাকা।

পরিষদ চেয়ারম্যান/সদস্য/ মসজিদের ইমাম/ধর্মীয় পুরোহিত (সকল)।

৪।

পরিষদের স্বার্থে সেপ্টেম্বর 2018 খ্রি: মাসের সকল অপরিহার্য ব্যয়সমূহ অনুমোদন।

পরিষদের স্বার্থে খরচের সকল ব্যয় ভাউচার পর্যালোচনাপূর্বক অনুমোদিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ

৩। অন্যান্য আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে নিম্নরূপ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়:

ক্রম

নং

আলোচ্য বিষয়/প্রস্তাবের সংক্ষিপ্ত সার

আলোচনা

সিদ্ধান্ত

বাস্তবায়নকারী সদস্য /কর্তৃপক্ষ/কর্মকর্তা/

কর্মচারী

০১

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন

ইউপি সচিব জানান, অক্টোবর/১৮ খ্রিঃ মাসে মোট ৩৮ জনের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে মহিলা ১৫ জন এবং পুরুষ ২৩ জন। এছাড়া ০৪ জন পুরুষ ও ০১ জন মহিলাসহ মোট ০৫ জনের মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি গ্রহণ।

ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলে

 

০২

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ

নিরোধ

সভাপতি জানান, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা একটি ভয়াবহ সমস্যা।  আর্থিক অস্বচ্ছলতা, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব, কন্যার দায়ভার হতে মুক্তি লাভ, বাল্য বিবাহের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানের অভার, বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ইত্যাদি কারণে সমাজে যৌতুক ও বাল্য বিবাহ ব্যাধির ন্যায় সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে। যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, নারী ও শিশু নির্যাতন, নানাবিধ পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। এলাকায় যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধে  নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় :

১। জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে না দেওয়া, ২। মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করা, ৩। বাল্যবিবাহ ঘটার উপক্রম হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, ৪। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। মসজিদের ইমাম/ নিকাহ্‌ ও তালাক রেজিস্টার,

২। ইউনিয়ন যৌতুক ও বাল্য বিবাহ কমিটি, ৩। গ্রামপুলিশ বাহিনী,

৪। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য (সকল)/সচিব।

০৩

নারী ও শিশু নির্যাতন

প্রতিরোধ

উপস্থিত সকলে বলেন, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর প্রতি অবহেলা, নারীকে যথাযথ সম্মান ও যথেষ্ট গুরুত্ব না দেয়ার কারণে বর্তমান সমাজে নারী নির্যাতন সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। নারীরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের নিপীড়ন, জখম, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ইত্যাদি অপরাধের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ দমনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে “নারী ও শিশু নির্যাতন আইন” প্রণীত হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা আজ পথে-ঘাটে, অফিসে, হাটে-বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও নিরাপদ নয়। এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, সমাজে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এলাকায় নারী ও শিশু নিযার্তন প্রতিরোধের জন্য নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়-১। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ, ২। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, ৩। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারী ও শিশুর মৌলিক অধিকারগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করা, ৬। ওয়ার্ড সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন নারীর অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু নির্যাতনের কারণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/ সদস্য (সকল)

২। গ্রাম পুলিশ বাহিনী

৩। ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।

৪। সচেতন অভিভাবক মহল ও সচেতন নাগরিক।

 

০৪

জঙ্গীবাদ/

সন্ত্রাসবাদ/

মাদক/আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত।

সভাপতি বলেন, জঙ্গী বা সন্ত্রাসীরা যে কোন সময় এলাকার জনগণের ক্ষতি সাধন করতে পারে। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/সন্ত্রাসী/জঙ্গী আস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা/উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

১। জঙ্গীবাদ/সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে সচেতন থাকা, ২। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা, ৩। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/ সন্ত্রাসী/জঙ্গীআস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো, ৪। সকল মসজিদে প্রতি শুক্রবার জমুার নামাজে জঙ্গীবাদ/ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে খুতবা পাঠ করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য

২। গ্রাম পুলিশ,

৩। মসজিদের ইমাম/ মাদ্রাসার সুপার (সকল)।

০৫

ইউনিয়ন পরিষদের অক্টোবর/১৮ খি: মাসের আয়-ব্যয়।

আলোচ্যসূচি অনুসারে ইউপি সচিব ইউনিয়ন পরিষদের অক্টোবর/১৮ মাসের আয় ও ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ:আয় : হোল্ডিং কর আদায় বাবদ ৫,৬১,০৬০ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায় বাবদ ১,২০০ টাকা এবং হাটবাজার ইজারা বাবদ ২,০৬,৯৭৮ টাকা। ব্যয়ঃ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা উদ্‌যাপন ৩,০০০ টাকা, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ৩,৬৪,০০০ টাকা, পিয়নের বেতন ৬,০০০ টাকা, স্টেশনারী ক্রয় ৫,০০০ টাকা, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ১৮,২৭০ টাকা, আর্থিক সাহায্য ৭,০০০ টাকা, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সম্মানী ভাতা ৩,১০,২০০ টাকা, গ্রাম পুলিশের বেতন ৪৫,৬০০ টাকা।

যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে উপরোল্লিখিত ব্যয়সমূহ অপরিহার্য ছিল; তাই উক্ত ব্যয় এবং ব্যয় ভাউচারসমূহ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

৪। পরিশেষে আর কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

(মো: জাহাঙ্গীর হোসেন)

চেয়ারম্যান

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৫-০২৩২২৭।

 

স্মারক নং : ৪৬.০০.৪৬৪৩.০৬৩.০৬.০১৯.১৮- তারিখঃ ২৩/১০/২০১৮ খ্রিঃ

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো-

  1. জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  2. উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  3. চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  4. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  5. অফিস নথি।

 

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের নভেম্বর ২০১৮ মাসের সাধারণ সভার কার্যবিবরণীঃ

সভাপতিঃ              মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারম্যান, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ                                            

            সভার তারিখঃ       ২০/১১/২০১৮ খ্রিঃ                                                                                                 

সময়ঃ                  সকাল ১০.৩০ ঘটিকা                                                             

স্থানঃ                   কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তন

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিগণের তালিকা সভার হাজিরা বহি দ্রষ্টব্য (স্বাক্ষরের ক্রমানুসারে)।

সভাপতি উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাপূর্বক কোনোরূপ সংশোধনী না থাকায় উহা নিশ্চিতকরণ করা হয়।

২।  আলোচ্য বিষয়-: আলোচ্যসূচি অনুযায়ী বিগত মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়:

ক্রঃ নং

বিগত সভার সিদ্ধান্ত

আলোচনা/পর্যালোচনা

বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/পরিষদ সদস্য/কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম

১।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি আদায়।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা,২০১৮ অনুসারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সচিব ও চেয়ারম্যান।

২।

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধকল্পে:

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে বয়স ও ঠিকানা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করা।

৩। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণকে অবগত করা হয়েছে, ২। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে, ৩। ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

 

১। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য,

    সচিব ও চেয়ারম্যান।

২। নিকাহ্‌ ও তালাক

    রেজিস্টার (কাজী)

৩।

এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন মাদক ও জুয়া সম্পর্কে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সদা সতর্ক থাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীসহ সকলে এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।

স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সদা সজাগ ও সতর্ক থাকা।

পরিষদ চেয়ারম্যান/সদস্য/ মসজিদের ইমাম/ধর্মীয় পুরোহিত (সকল)।

৪।

পরিষদের স্বার্থে নভেম্বর/১৮ খ্রি: মাসের সকল অপরিহার্য ব্যয়সমূহ অনুমোদন।

পরিষদের স্বার্থে খরচের সকল ব্যয় ভাউচার পর্যালোচনাপূর্বক অনুমোদিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ

৩। অন্যান্য আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে নিম্নরূপ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়:

ক্রম

নং

আলোচ্য বিষয়/প্রস্তাবের সংক্ষিপ্ত সার

আলোচনা

সিদ্ধান্ত

বাস্তবায়নকারী সদস্য /কর্তৃপক্ষ/কর্মকর্তা/

কর্মচারী

০১

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন

ইউপি সচিব জানান, নভেম্বর ১৮ খ্রিঃ মাসে মোট ৬২ জনের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে মহিলা ২৮ জন এবং পুরুষ ৩৪ জন। এছাড়া ১৩ জন পুরুষ ও ০৫ জন মহিলাসহ মোট 18 জনের মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি গ্রহণ।

ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলে

 

০২

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ

নিরোধ

সভাপতি জানান, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা একটি ভয়াবহ সমস্যা।  আর্থিক অস্বচ্চলতা, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব, কন্যার দায়ভার হতে মুক্তি লাভ, বাল্য বিবাহের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানের অভার, বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ইত্যাদি কারণে সমাজে যৌতুক ও বাল্য বিবাহ ব্যাধির ন্যায় সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে। যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, নারী ও শিশু নির্যাতন, নানাবিধ পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। এলাকায় যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধে  নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় :

১। জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে না দেওয়া, ২। মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করা, ৩। বাল্যবিবাহ ঘটার উপক্রম হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, ৪। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। মসজিদের ইমাম/ নিকাহ্‌ ও তালাক রেজিস্টার,

২। ইউনিয়ন যৌতুক ও বাল্য বিবাহ কমিটি, ৩। গ্রামপুলিশ বাহিনী,

৪। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য (সকল)/সচিব।

০৩

নারী ও শিশু নির্যাতন

প্রতিরোধ

উপস্থিত সকলে বলেন, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর প্রতি অবহেলা, নারীকে যথাযথ সম্মান ও যথেষ্ট গুরুত্ব না দেয়ার কারণে বর্তমান সমাজে নারী নির্যাতন সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। নারীরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের নিপীড়ন, জখম, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ইত্যাদি অপরাধের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ দমনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে “নারী ও শিশু নির্যাতন আইন” প্রণীত হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা আজ পথে-ঘাটে, অফিসে, হাটে-বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও নিরাপদ নয়। এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, সমাজে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এলাকায় নারী ও শিশু নিযার্তন প্রতিরোধের জন্য নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়-১। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ, ২। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, ৩। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারী ও শিশুর মৌলিক অধিকারগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করা, ৬। ওয়ার্ড সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন নারীর অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু নির্যাতনের কারণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/ সদস্য (সকল)

২। গ্রাম পুলিশ বাহিনী

৩। ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।

৪। সচেতন অভিভাবক মহল ও সচেতন নাগরিক।

 

০৪

জঙ্গীবাদ/

সন্ত্রাসবাদ/

মাদক/আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত।

সভাপতি বলেন, জঙ্গী বা সন্ত্রাসীরা যে কোন সময় এলাকার জনগণের ক্ষতি সাধন করতে পারে। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/সন্ত্রাসী/জঙ্গী আস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা/উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

১। জঙ্গীবাদ/সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে সচেতন থাকা, ২। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা, ৩। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/ সন্ত্রাসী/জঙ্গীআস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো, ৪। সকল মসজিদে প্রতি শুক্রবার জমুার নামাজে জঙ্গীবাদ/ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে খুতবা পাঠ করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য

২। গ্রাম পুলিশ,

৩। মসজিদের ইমাম/ মাদ্রাসার সুপার (সকল)।

০৫

ইউনিয়ন পরিষদের নভেম্বর১৮ খি: মাসের আয়-ব্যয়।

আলোচ্যসূচি অনুসারে ইউপি সচিব ইউনিয়ন পরিষদের নভেম্বর১৮ মাসের আয় ও ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ: ১। আয় : হোল্ডিং কর আদায় বাবদ ৩,০৬০ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায় বাবদ ৬০০ টাকা।

ব্যয়ঃ  বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ৩,২৭৬ টাকা, স্টেশনারী ১,৫০০ টাকা, পিয়নের বেতন ১,৫০০ টাকা, চেয়ারম্যানের সম্মানী ভাতা ৫,৫০০ টাকা।

যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে উপরোল্লিখিত ব্যয়সমূহ অপরিহার্য ছিল; তাই উক্ত ব্যয় এবং ব্যয় ভাউচারসমূহ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

৪। পরিশেষে আর কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

(মো: জাহাঙ্গীর হোসেন)

চেয়ারম্যান

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৫-০২৩২২৭।

 

স্মারক নং : ৪৬.০০.৪৬৪৩.০৬৩.০৬.০১৯.১৮- তারিখঃ ২৫/১১/২০১৮ খ্রিঃ

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো-

  1. জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  2. উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  3. চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  4. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  5. অফিস নথি।

 

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ডিসেম্বর/২০১৮মাসের সাধারণ সভার কার্যবিবরণীঃ

সভাপতিঃ             মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চেয়ারম্যান, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ                                            

            সভার তারিখঃ       ২৬/১২/২০১৮ খ্রিঃ                                                                                                 

সময়ঃ                  সকাল ১০.৩০ ঘটিকা                                                             

স্থানঃ                   কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তন

সভার উপদেষ্টা ও পর্যবেক্ষক: জনাব মো: এটিএম কাউছার হোসেন, উপপরিচালক স্থানীয় সরকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিগণের তালিকা সভার হাজিরা বহি দ্রষ্টব্য (স্বাক্ষরের ক্রমানুসারে)।

সভাপতি উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করেন। অতঃপর বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনাপূর্বক কোনোরূপ সংশোধনী না থাকায় উহা নিশ্চিতকরণ করা হয়।

২।  আলোচ্য বিষয়-: আলোচ্যসূচি অনুযায়ী বিগত মাসিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়:

ক্রঃ নং

বিগত সভার সিদ্ধান্ত

আলোচনা/পর্যালোচনা

বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর/পরিষদ সদস্য/কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম

১।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি আদায়।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪” এবং বিধিমালা,২০১৮ অনুসারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, সচিব ও চেয়ারম্যান।

২।

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধকল্পে:

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ।

২। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে বয়স ও ঠিকানা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করা।

৩। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। জন্ম সনদ ব্যতীত নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণ যাতে বিবাহ পড়াতে না পারে সে বিষয়ে নিকাহ্‌ রেজিস্টারগণকে অবগত করা হয়েছে, ২। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা হচ্ছে, ৩। ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হলে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

১। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য,

    সচিব ও চেয়ারম্যান।

২। নিকাহ্‌ ও তালাক

    রেজিস্টার (কাজী)

৩।

এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন মাদক ও জুয়া সম্পর্কে, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সদা সতর্ক থাকা। গ্রাম পুলিশ বাহিনীসহ সকলে এলাকায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।

স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সদা সজাগ ও সতর্ক থাকা।

পরিষদ চেয়ারম্যান/সদস্য/ মসজিদের ইমাম/ধর্মীয় পুরোহিত (সকল)।

৪।

পরিষদের স্বার্থে ডিসেম্বর/18 খ্রি: মাসের সকল অপরিহার্য ব্যয়সমূহ অনুমোদন।

পরিষদের স্বার্থে খরচের সকল ব্যয় ভাউচার পর্যালোচনাপূর্বক অনুমোদিত হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ

৩। অন্যান্য আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে নিম্নরূপ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়:

ক্রম

নং

আলোচ্য বিষয়/প্রস্তাবের সংক্ষিপ্ত সার

আলোচনা

সিদ্ধান্ত

বাস্তবায়নকারী সদস্য /কর্তৃপক্ষ/কর্মকর্তা/

কর্মচারী

০১

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন

ইউপি সচিব জানান, ডিসেম্বর ১৮ খ্রিঃ মাসে মোট ৫৫ জনের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। তন্মধ্যে মহিলা ২৭ জন এবং পুরুষ ২৮ জন। এছাড়া ০৮ জন পুরুষ ও ০৫ জন মহিলাসহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে।

“জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণ এবং নির্ধারিত হারে ফি গ্রহণ।

ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সকলে

 

০২

যৌতুক ও বাল্য বিবাহ

নিরোধ

সভাপতি জানান, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা একটি ভয়াবহ সমস্যা।  আর্থিক অস্বচ্ছলতা, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব, কন্যার দায়ভার হতে মুক্তি লাভ, বাল্য বিবাহের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানের অভার, বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব ইত্যাদি কারণে সমাজে যৌতুক ও বাল্য বিবাহ ব্যাধির ন্যায় সমাজের গভীরে প্রবেশ করেছে। যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, নারী ও শিশু নির্যাতন, নানাবিধ পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। এলাকায় যৌতুক প্রথা এবং বাল্যবিবাহ রোধে  নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় :

১। জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে না দেওয়া, ২। মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা প্রদান করা, ৩। বাল্যবিবাহ ঘটার উপক্রম হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, ৪। ওয়ার্ড সভায় যৌতুক ও বাল্য বিবাহের ফলাফল ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। মসজিদের ইমাম/ নিকাহ্‌ ও তালাক রেজিস্টার,

২। ইউনিয়ন যৌতুক ও বাল্য বিবাহ কমিটি, ৩। গ্রামপুলিশ বাহিনী,

৪। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য (সকল)/সচিব।

০৩

নারী ও শিশু নির্যাতন

প্রতিরোধ

উপস্থিত সকলে বলেন, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর প্রতি অবহেলা, নারীকে যথাযথ সম্মান ও যথেষ্ট গুরুত্ব না দেয়ার কারণে বর্তমান সমাজে নারী নির্যাতন সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। নারীরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার, ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের নিপীড়ন, জখম, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ইত্যাদি অপরাধের শিকার হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধসমূহ দমনের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে “নারী ও শিশু নির্যাতন আইন” প্রণীত হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা আজ পথে-ঘাটে, অফিসে, হাটে-বাজারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোথাও নিরাপদ নয়। এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, সমাজে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

এলাকায় নারী ও শিশু নিযার্তন প্রতিরোধের জন্য নিম্নরুপ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়-১। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়করণ, ২। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, ৩। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং নারী শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারী ও শিশুর মৌলিক অধিকারগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করা, ৬। ওয়ার্ড সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন নারীর অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু নির্যাতনের কারণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/ সদস্য (সকল)

২। গ্রাম পুলিশ বাহিনী

৩। ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।

৪। সচেতন অভিভাবক মহল ও সচেতন নাগরিক।

 

০৪

জঙ্গীবাদ/

সন্ত্রাসবাদ/

মাদক/আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত।

সভাপতি বলেন, জঙ্গী বা সন্ত্রাসীরা যে কোন সময় এলাকার জনগণের ক্ষতি সাধন করতে পারে। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে অভিভাবকসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/সন্ত্রাসী/জঙ্গী আস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থা/উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

১। জঙ্গীবাদ/সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে সচেতন থাকা, ২। স্কুল/কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ ছাত্রীরা যাতে জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে না পড়ে, জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা, ৩। এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তি/জঙ্গী/ সন্ত্রাসী/জঙ্গীআস্তানা/শিবিরের খোঁজ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো, ৪। সকল মসজিদে প্রতি শুক্রবার জমুার নামাজে জঙ্গীবাদ/ সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে খুতবা পাঠ করা।

১। ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য

২। গ্রাম পুলিশ,

৩। মসজিদের ইমাম/ মাদ্রাসার সুপার (সকল)।

০৫

ইউনিয়ন পরিষদের ডিসেম্বর 18 খি: মাসের আয়-ব্যয়।

আলোচ্যসূচি অনুসারে ইউপি সচিব ইউনিয়ন পরিষদের ডিসেম্বর18 মাসের আয় ও ব্যয়ের হিসাব সভায় উপস্থাপন করেন, যা নিম্নরূপ: ১। আয় : হোল্ডিং কর আদায় বাবদ ১,১৭০ টাকা, ট্রেড লাইসেন্স ফিস আদায় বাবদ ১,৪০০ টাকা।

ব্যয়ঃ  পিয়নের বেতন ১,৫০০ টাকা, জাতীয়তা সনদপত্র ছাপানো ৭,০০০ টাকা, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ১,১৩৫ টাকা।

যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে উপরোল্লিখিত ব্যয়সমূহ অপরিহার্য ছিল; তাই উক্ত ব্যয় এবং ব্যয় ভাউচারসমূহ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

৪। পরিশেষে আর কোন আলোচনা না থাকায় সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

 

(মো: জাহাঙ্গীর হোসেন)

চেয়ারম্যান

৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ

দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

মোবা: ০১৫৫৫-০২৩২২৭।

 

স্মারক নং : ৪৬.০০.৪৬৪৩.০৬৩.০৬.০১৯.১৮- তারিখঃ ২৭/১২/২০১৮ খ্রিঃ

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো-

  1. জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  2. উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  3. চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  4. উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
  5. অফিস নথি।